চাল নিয়ে চালবাজি করছেন কারা, জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
০৮-০১-২০২৫ ০১:২৬:৫৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
০৮-০১-২০২৫ ০২:০২:৫৩ অপরাহ্ন
সাময়িক মজুতদারির জন্য চালের বাজার এখন অস্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
তিনি বলেছেন, বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। নিজস্ব মজুদেও ঘাটতি নেই। স্থানীয় উৎপাদনেও ঘাটতি নেই। আমরা আমনের ভরা মৌসুম পার করছি। ঠিক এই মুহূর্তে বাজারে যে দামে চাল বিক্রি হচ্ছে তার কোনো যৌক্তিক কারণ আমরা দেখছি না। যারা মজুদ করছেন তারা ভোক্তাদের কষ্টের সাময়িক মুনাফা করছেন বলে উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর বেগুনবাড়ি দীপিকার মোড়ে দেশব্যাপী স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাণিজ্য উদারীকরণের কারণে বাজারে পণ্যের ঘাটতি নেই। সাময়িক মজুতদারির জন্য চালের বাজার অস্থিতিশীল। মনিটরিং করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে বিশেষ করে নাজিরসাইল ও মিনিকেট, এই দুইটা চালের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। খুচরা লেভেলে যে ধরনের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তার থেকে পাইকারি লেভেলে দামের বৃদ্ধিটা অনেক বেশি।
বশিরউদ্দীন বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যেটা করতে হবে সেটা হচ্ছে যে আমদানিকে উদারীকরণ করতে পারি। আলুর ক্ষেত্রেও আমরা উদারীকরণ করেছি। আলুর দাম ব্যাপকভাবে নেমে এসেছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে, সাময়িক মজুদদারীর ঘটনা ঘটছে। বাণিজ্য উদারীকরণের জন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ টিসিবির চেয়ারম্যানাকে নিয়ে বসেছি। বাজারের সরবরাহ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য আপাতত আমদানিকেন্দ্রীক ব্যবস্থা নিচ্ছি। ব্যাপক আমদানি প্রস্তুতি চলছে। আমদানি ব্যাপকতার ফলে স্থানীয় বাজারে দামের হ্রাস ঘটবে।
টিসিবির পণ্য বিতরণে দুর্নীতি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রথমে টিসিবির পণ্য বিতরণ কার্যক্রমে যে নৈরাজ্য ও দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে তা স্বীকার করে নেওয়া দরকার ছিল। তা আমরা করেছি। সেটা দূর করতে ডিজিটাইজ করে অনিয়ম দূর করার কাজ করছি।
এরইমধ্যে ৬৩ লাখ স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু বিতরণ কার্যক্রম ন্যায়ভিত্তিক না, ক্রয় কার্যক্রমকেও আরো বেশি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক করতে চাই।
বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স